টরেন্টো, টোকিও, গুয়াংজু ও চেন্নাইসহ নতুন চারটি আন্তর্জাতিক রুটে ডানা মেলতে চায় বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।করোনাভাইরাস পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নভেম্বরের মধ্যেই এসব ফ্লাইট চালু হবে বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।এ অঞ্চলের দেশগুলোর ট্রানজিট যাত্রী পরিবহনে নতুনভাবে সাজানো হচ্ছে আন্তর্জাতিক ফ্লাইটের সূচি।





বিশ্লেষকদের মতে, যাত্রী খরা থাকায় কোভিড পরবর্তী সময়ে নতুন রুট চালুর সিদ্ধান্ত বুঝে শুনে নিতে হবে।গেল দু্ বছরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের বহরে ছয়টি অত্যাধুনিক উড়োজাহাজ যোগ হলেও রুট বেড়েছে মাত্র তিনটি।চলতি বছর একাধিক নতুন রুটে যাত্রার উদ্যোগও পিছিয়ে পড়েছে করোনাভাইরাস মহামারীতে।





বিভিন্ন দেশ নিষেধাজ্ঞা না তোলায় বিদ্যমান ১৭টি রুটের মধ্যে বর্তমানে মাত্র চারটি রুটে নিয়মিত ফ্লাইট পরিচালনা করছে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স।এর মধ্যেই টোকিও, টরন্টোসহ নতুন চারটি রুটে যাত্রার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিমান। টরন্টো ছাড়া বাকি তিনটি রুটে ফ্লাইট চালুর প্রস্তুতিও শেষ হয়েছে।





এদিকে,করোনার ধাক্কায় বিপর্যয়ের মুখে পড়েছে বিশ্বের দুই শীর্ষ উড়োজাহাজ নির্মাণ কোম্পানি। গত কয়েক মাসে আয়ে ধস নামায় কঠিন চ্যালেঞ্জে বোয়িং ও এয়ারবাস। উভয় কোম্পানির প্রায় ১ হাজার ১০০ কোটি ডলার মূল্যের উড়োজাহাজের অর্ডার অবিক্রীত অবস্থায় পড়ে আছে। নতুন উড়োজাহাজের চাহিদা প্রায় শূন্য, কার্যাদেশ আসাও বন্ধ। এ অবস্থায় আয় তলানিতে ঠেকায় টিকে থাকার জন্য লড়াই করতে হচ্ছে দুই কোম্পানিকে। খবর ব্ল–মবার্গ





করোনা মহামারীর কারণে বৈশ্বিক ভ্রমণ খাতে স্থবিরতা নেমে এসেছে। আকাশপথে যাত্রী চলাচল প্রায় বন্ধ হয়ে যাওয়ায় আর্থিক সংকটে পড়েছে আকাশসেবা সংস্থাগুলো। নতুন উড়োজাহাজ কেনার পয়সা নেই তাদের কাছে। এতে উড়োজাহাজ নির্মাতাদের আয়েও ধস নেমেছে। নতুন চাহিদা ও কার্যাদেশ বন্ধ থাকায় উড়োজাহাজ নির্মাতারা দুটি বড় ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েছে। প্রথমত, আয় কমে যাওয়ায় এখন তাদের ব্যয়ের লাগামও টেনে ধরতে হচ্ছে। দ্বিতীয়ত, করোনা সংকটের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ কার্যক্রমগুলো চালিয়ে যাওয়া এবং সংকট কেটে গেলে দৃঢ়ভাবে ফিরে আসার জন্য নগদ অর্থের সুরক্ষাও নিশ্চিত করতে হচ্ছে তাদের।




