‘এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং’ অর্থাৎ মহাকাশ সংক্রান্ত পড়াশোনা অত্যন্ত কঠিন বিষয়গুলোর একটি। ১৮ থেকে ২৫ বছরের আগে এই বিষয়টি নিয়ে পড়াশোনা করাও যায় না। কিন্তু যদি শোনেন ১২ বছরের ছাত্র আগামিদিনে ‘এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং’ পড়বে! হ্যাঁ, শুনতে অবাক লাগলেও এটাই সত্যি। সালেব অ্যান্ডারসন নামে আমেরিকার এক বালক ১২ বছর বয়সে ‘এরোস্পেস ইঞ্জিনিয়ারিং’ পড়ার সুযোগ পেয়েছে মার্কিন মুলুকের জর্জিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে। বিশ্বের সবচেয়ে কম বয়সী ছাত্র হিসেবে কঠিন এই বিষয়টি নিয়ে পড়ার নজিরও গড়েছে সালেব অ্যান্ডারসন।
আসলে ছোট থেকেই বিরল প্রতিভার অধিকারী অ্যান্ডারসন। সহজেই যেকোনো বিষয় বুঝতে এবং শিখতে পারে সে। মাত্র ৯ মাস বয়সেই সাইন ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে ফেলেছিল। আর দু’বছর বয়সে ভগ্নাংশের অঙ্কও শিখে নিয়েছিল। এরপরই তার এই বিরল প্রতিভার কথা বুঝতে পারেন সবাই। ওই বয়সেই ফার্স্ট গ্রেড ক্লাসে ভরতিও হয়েছিল অ্যান্ডারসন। তবে এসবের মধ্যে বিপাকেও পড়তে হয়েছে অ্যান্ডারসনকে। সে জানিয়েছে, মিডল স্কুলে পড়ার সময় অনেক সময়ই বয়সে বড় পড়ুয়ারা তাকে ‘খাটো’ নজরে দেখত, তাচ্ছিল্য করত।
শেষ পর্যন্ত সমস্ত বাধা পেরিয়ে মারিয়েটার একটি কলেজ থেকে স্কুল পাশ করে এবার বিশ্ববিদ্যালয়ের পথে অ্যান্ডারসন। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও অ্যান্ডারসনের সুযোগ পাওয়া নিয়ে নিজেদের খুশির কথা ব্যক্ত করেছে। এর মধ্যে একদিন কলেজ ক্যাম্পাসেও গিয়েছিলেন অ্যান্ডারসন। তার সঙ্গে দেখা করেন ক্যাম্পাস প্রেসিডেন্ট। ঘুরিয়ে দেখান ল্যাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়। পরে জানান, ওই ছাত্রের মতো বিরল প্রতিভা এই বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগ দেয়ায় সবাই খুব খুশি।
অ্যান্ডারসনের মা–বাবাও ছেলের কৃতিত্বে গর্বিত। তারা আশাবাদী ছেলে আরও অনেক নাম করবে এদিকে, নেটিদুনিয়াতেও ভাইরাল অ্যান্ডারসনের কাহিনী। নেটিজেনরা কুর্নিশ জানিয়েছে এই খুদে প্রতিভাকে।সূত্র : সংবাদ প্রতিদিনইরান আবারো আজারবাইজানের ভৌগোলিক অখণ্ডতা রক্ষার ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছে, আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার মধ্যকার মতবিরোধ নিরসনে আরো কার্যকর ভূমিকা রাখতে তেহরান প্রস্তুত রয়েছে।
ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির চিফ অব স্টাফ মাহমুদ ওয়ায়েজি বুধবার সন্ধ্যায় আজারবাইজানের উপপ্রধানমন্ত্রী শাহিন মোস্তফায়োভের সঙ্গে এক টেলিফোনালাপে তেহরানের এ প্রস্তুতির কথা ঘোষণা করেন। তিনি বাকুর সঙ্গে তেহরানের সম্পর্ক আরো শক্তিশালী করারও আগ্রহ প্রকাশ করেন।
ওয়ায়েজি বলেন, আজারবাইজান ককেশাস অঞ্চলে শান্তি ও স্থিতিশীলতা রক্ষা করার জন্য ইরান, রাশিয়া ও তুরস্ককে আরো বেশি কার্যকর ভূমিকা রাখার যে আহ্বান জানিয়েছে তাকে স্বাদরে গ্রহণ করছে তেহরান। তিনি মস্কোয় অর্জিত যুদ্ধবিরতি মেনে চলার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে আলোচনার মাধ্যমে চলমান মতবিরোধ নিরসনের জন্য আজারবাইজান ও আর্মেনিয়ার প্রতি আহ্বান জানান।
টেলিফোনালাপে আজারবাইজানের উপ প্রধানমন্ত্রী বিভিন্ন ক্ষেত্রে ইরানের সঙ্গে তার দেশের সম্পর্ক ও সহযোগিতা শক্তিশালী করার আগ্রহ প্রকাশ করেন। তিনি নাগার্নো-কারাবাখ অঞ্চলের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তার দেশের সঙ্গে আর্মেনিয়ার সাম্প্রতিক সংঘর্ষের অবসান ঘটানোর জন্য প্রচেষ্টা চালানোয় তেহরানকে ধন্যবাদ জানান। পার্সটুডে