করো’না ভাই’রাসের ম’হামা’রির কারণে বন্ধ থাকার পর পুনরায় বরগুনার রিফাত শরীফ হ’ত্যা মা’মলার বিচারিক কার্যক্রম শুরু হয়েছে। সোমবার (১০ আগস্ট) সকালে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজ আদালতে জামিনে থাকা আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নিসহ ১০ আ’সামি হাজির হয়েছেন।জানা গেছে, আদালতে ৭৬ জন সাক্ষীর দেওয়া সাক্ষ্য পড়ে শোনানো হবে। এ ছাড়া আ’সামিদের পক্ষে সাফাই সাক্ষী গ্রহণ ও কোনো কাগজপত্র জমা দেওয়া হবে কিনা জানতে চাওয়া হবে। রিফাত হ’ত্যা





মাম’লায় মোট ২৪ জনকে আ’সামি করে দুটি ভাগে চার্জশিট দেয় পুলিশ। এর মধ্যে ১০ জন প্রাপ্তবয়স্ক ও ১৪ শিশু আ’সামি। মাম’লায় প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে আয়েশা সিদ্দিকা মিন্নি ও শিশু আ’সামিদের মোট আটজন জামিনে আছেন।এর আগে, গত বছরের ২৬ জুন প্রকাশ্য





দিবালোকে বরগুনা সরকারি কলেজ রোডে স্ত্রী মিন্নির সামনে কু’পিয়ে জ’খম ক’রা হয় রিফাত শরীফকে। পরে বরিশাল শেরে বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃ’ত্যু হয়। পরে ২ জুলাই ভোরে পুলিশের সঙ্গে ‘ব’ন্দুকযু’দ্ধে’ নি’হ’ত হন হ’ত্যাকা’ণ্ডের প্রধান অভিযুক্ত নয়ন বন্ড। এর মধ্যে মা’মলার অন্য আ’সামিদেরও গ্রে’ফতার করা হয়।





১৬ জুলাই সকালে বরগুনার মাইঠা এলাকায় বাবার বাসা থেকে মিন্নিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য বরগুনার পুলিশ লাইনে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে রিফাত হ’ত্যাকা’ণ্ডে সম্পৃক্ততার প্রাথমিক প্রমাণ পাওয়ায় ওই দিন রাত ৯টার দিকে মিন্নিকে গ্রে’ফতার দেখায় পুলিশ। পরদিন ১৭ জুলাই বিকেলে মিন্নিকে আদালতে হাজির করে সাত দিন রি’মান্ডের আবেদন করে পুলিশ।বিকেল সোয়া ৩টার দিকে শুনানি শেষে





বরগুনার সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিরাজুল ইসলাম গাজী পাঁচ দিনের রি’মান্ড মঞ্জুর করেন। রি’মান্ডের দ্বিতীয় দিন ১৯ জুলাই বিকেল ৫টার দিকে বরগুনা সিনিয়র জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মিন্নি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। পরে তাকে





কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।এর পরে ২৯ আগস্ট হাইকোর্ট তাকে জামিন দেন। জামিনের শর্ত হিসেবে বলা হয়েছে, মিন্নি তার বাবার জিম্মায় থাকবে এবং মিডিয়ার সঙ্গে কথা বলতে পারবেন না। এর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পর ২ সেপ্টেম্বর আপিল বিভাগের অবকাশকালীন চেম্বার আদালত ‘নো অর্ডার’ আদেশ দেন। পরদিন ৩ সেপ্টেম্বর বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কারাগার থেকে মুক্তি পান মিন্নি।




