বাদশাহ সালমানের অসুস্থতার মধ্যেই এবার সৌদি আরবের রাজপরিবারে ফের উত্তেজনা। বরখাস্ত করা হয়েছে, ইয়েমেনে সৌদি অভিযানের কমান্ডার প্রিন্স ফাহাদ বিন তুর্কি এবং তার ছেলে আবদুল্লাহ বিন ফাহাদসহ অন্তত ৬ সামরিক কর্মকর্তাকে। বলা হচ্ছে, প্রতিরক্ষাখাতে সন্দেহজনক অর্থনৈতিক লেনদেন ইস্যুতে ফেঁসে গেছেন এরা।
সম্প্রতি ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বাদশাহর ছোট ভাই প্রিন্স আহমেদ বিন আবদুল আজিজ আল সৌদ এবং সাবেক ক্রাউন প্রিন্স মোহাম্মদ বিন নায়েফকে।২০১৭ সালে মোহাম্মদ বিন নায়েফকে বাদ দিয়ে নতুন ক্রাউন প্রিন্স ঘোষণা করা হয়, যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানকে।
অভিযোগ রয়েছে, মোহাম্মদকে সিংহাসনের উত্তরাধিকার ঘোষণার পরই রাজপরিবারে বিভাজন শুরু হয়। ২০১৮ সালে কথিত দুর্নীতি বিরোধী অভিযানের নামে বন্দি করা হয়, রাজপরিবারের প্রভাবশালী সদস্যসহ প্রায় ২শ কর্মকর্তাকে। এদিকে,দুর্নীতির দায়ে ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে লড়াইরত সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন জোট বাহিনীর কমান্ডার প্রিন্স ফাহাদ বিন তুর্কি বিন আবদুল আজিজকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ জানায়, আল-জওফ অঞ্চলের উপকমান্ডারের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন প্রিন্স আবদুল আজিজ বিন ফাহাদ বিন তুর্কি। তাকে তার কর্তব্য থেকে সরিয়ে দেয়া হয়েছে।প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে চার সামরিক কর্মকর্তার সঙ্গে রাজপরিবারের দুই সদস্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির তদন্তের নির্দেশ দেয়া হয়েছে। বাদশাহ সালমান বিন আবদুল আজিজ এ সংক্রান্ত একটি ডিক্রি জারি করেছেন।
দুর্নীতি দমন সংস্থায় যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের একটি চিঠির পর এমন সিদ্ধান্ত এসেছে। এতে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ে সন্দেহজনক লেনদেন দিয়ে একটি তদন্তের আহ্বান জানানো হয়েছে।বিবৃতিতে বলা হয়, সব সামরিক ও বেসামরিক লোকজনের বিরুদ্ধে তদন্ত শেষ করবে দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ ও দমন কমিশন। এরপর তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনি পদক্ষেপ নেয়া হবে।সৌদি আরবের প্রতিষ্ঠাতা বাদশাহ আবদুল আজিজ আল-সৌদের নাতি প্রিন্স ফাহাদ। ২০১৮ সাল থেকে ইয়েমেনে সৌদি নেতৃত্বাধীন জোটের দায়িত্বে ছিলেন তিনি।