সৌদিতে করোনার প্রাকৃতিক চিকিৎসা দারুণ সাড়া জাগিয়েছে। মহামারি আকার ধারণ করা করোনায় আক্রান্ত রোগীদের প্রাকৃতিকভাবে চিকিৎসা করে সফলতা পেয়েছেন বলে দাবি করেছেন মদীনার ‘তাইবাহ ইউনিভার্সিটির অ্যান্টি-কোভিড ট্রিটমেন্ট’ গবেষক দল। এই ওষুধে ব্যাপক সাফল্য পাওয়ার দাবি করেছে সৌদির গবেষক দলটি। সম্প্রতি আমেরিকান জার্নাল ‘পাবলিক হেল্থ রিসার্চ’ এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করেছে।





‘তাইবাহ ইউনিভার্সিটির অ্যান্টি-কোভিড ট্রিটমেন্ট’ গবেষক দল তাইবুভিড নামের একটি ওষুধ বের করেছেন। এই তাইবুভিডের এক ডোজে রয়েছে, ‘এক চা চামচ (২ গ্রাম) কালিজিরা, এক চা চামচ (১ গ্রাম) ক্যামোমিল চূর্ণ এবং এক চা চামচ প্রাকৃতিক মধু।’ওই গবেষক দলের প্রধান ডা. সালাহ মোহাম্মদ আল সাঈদ বলেন, ‘আমরা করোনাভাইরাসের চিকিৎসার জন্য কালিজিরা, ক্যামোমিল, মধু ও লবঙ্গসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদান নিয়ে গবেষণার পর আশানুরূপ ফল পেয়েছি। গবেষণার পর আমরা যা পেয়েছে, সেটি হচ্ছে- কালিজিরা এবং ক্যামোমিল করোনাভাইরাসকে পুরোপুরি দমন করতে পারে।’





তিনি আরও বলেন, ‘আল্লাহ তা’আলার কৃপায় যেসব করোনা আক্রান্ত রোগী এই ওষুধ গ্রহণ করেছেন, তারা খুব ভাল উপকার পেয়েছেন। তারা এটি নিজেরা বাড়িতেই তৈরি করেছেন ‘এই ওষুধ ব্যবহারের ক্ষেত্রে গবেষকদল যেসব পরামর্শ দিয়েছেন, তা হলো-* এই উপাদানগুলো ভালভাবে মিশিয়ে নিয়ে ভালভাবে চিবিয়ে খেয়ে ফেলতে হবে। এটি খাওয়ার পর জুস, কমলা ও লেবু খেলে আরও ভাল।





• প্রথম এক সপ্তাহ প্রতিদিন পাঁচবার করে এই ওষুধ খেতে হবে। এরপর মহামারী শেষ না হওয়া পর্যন্ত প্রতিদিন একবার করে খেতে হবে।• যদি তীব্র কাশি ও শ্বাসকষ্ট থাকে, কালিজিরা অথবা লবঙ্গ দিয়ে গরম পানির ভাপ নিতে পারেন। অথবা কালিজিরা ও ক্যামোমিল দিয়েও গরম পানির ভাপ নেওয়া যেতে পারে।• উপরের দুইটি উপাদানের যে কোনও একটি নেবুলাইজারে দিয়ে তা নাসারন্দ্র দিয়ে গ্রহণ করতে পারেন।





• যদি নেবুলাইজার না থাকে, সেক্ষেত্রে এক টেবিল চামচ কালিজিরা, এক টেবিল চামচ ক্যামোমিল চূর্ণ এবং এক কাপ পানি একটি পাত্রে নিয়ে গরম করে ভাপ নেয়া যাবে। এভাবে দিনে ৫ থেকে ৬ বার নিতে হবে।ডা. সালাহ মোহাম্মদ আল সাঈদ বলেছেন, ‘এই ওষুধে উপকার পেতে এক সপ্তাহের বেশি সময় লাগেনি’।সূত্র: মুসলিম ইঙ্ক




