চীনের একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের সকালে ওঠার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। নতুন এই নির্দেশনা না মানলে তাদের শাস্তি ভোগ করতে হবে। ডেইলি মেইলের এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।নতুন নিয়ম অনুযায়ী, স্নাতকের শিক্ষার্থীদের অবশ্যই সকাল ৮টায় ঘুম থেকে উঠতে হবে। তবে যারা স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী তারা এক ঘণ্টা বেশি ঘুমানোর সময় পাবেন।
বিভিন্ন ডরমিটরির দায়িত্বে থাকা লোকজন ঘুরে দেখবেন যে, কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করছেন কিনা। নিয়ম ভাঙলেই পেতে হবে শাস্তি।সাংহাই ইউনিভার্সিটিতে এই নিয়ম জারি করা হয়েছে। সেখানে স্নাতক স্তরে পড়াশোনা করছে অন্তত ২০ হাজার শিক্ষার্থী এবং স্নাতকোত্তরে ১৬ হাজার ৫শ জন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন নিয়ম অনুযায়ী, শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন ঠিক সময়ে ঘুম থেকে উঠতে হবে। এছাড়া নিজের বিছানা ছাড়া অন্য কোনো শিক্ষার্থীর বিছানা খালি থাকলেও সেখানে ঘুমনো যাবে না। নতুন জারি করা নিয়ম ভঙ্গ করলে সোস্যাল ক্রেডিট অ্যাকাউন্টের বিহ্যাভিয়ার পয়েন্ট থেকে ১৫ পয়েন্ট কাটা যাবে। আর এভাবে পয়েন্ট কমে গেলে শিক্ষার্থীদের স্কলারশিপ পেতে অসুবিধা হবে।
অনেক শিক্ষার্থী বলছেন, প্রজেক্ট শেষ করতে তাদের রাতে অনেকক্ষণ জেগে থাকতে হয়। ফলে সকাল সকাল ঘুম থেকে উঠা তাদের জন্য শাস্তি। তারা নতুন নিয়ম নিয়ে রীতিমত আতঙ্কিত।এদিকে, সাংহাই বিশ্ববিদ্যালয়ের এই নতুন নিয়ম নিয়ে বেশ সমালোচনাও হচ্ছে। চীনের সামাজিক মাধ্যম ওয়েইবো ব্যবহারকারীরা বিভিন্ন পোস্টের মাধ্যমে নিজেদের মতামত ব্যক্ত করেছেন।
এক ব্যবহারকারী বলেছেন, আমি এর সঙ্গে একমত নই। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান উদার এবং সহনশীল হওয়া উচিত। এটি এমন কোনো জায়গা নয় যেখানে এতো ধরনের নিয়ম-কানুন থাকবে। প্রত্যেকের জীবনযাত্রাই আলাদা। তাই সবাইকে এক মানদণ্ডে বিচার করা উচিত নয়।
অন্য এক ব্যবহারী লিখেছেন, এটা কি বিশ্ববিদ্যালয় নাকি কারাগার? তবে অনেক শিক্ষার্থীই নতুন এই নিয়মকে সমর্থন করেছেন। এক শিক্ষার্থী এ বিষয়ে বলেছেন, নতুন এই নিয়ম তার এবং তার সহপাঠীদের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী হবে।বিভিন্ন দেশে ট্রায়ালের শেষ ধাপে রয়েছে করোনার সম্ভাব্য বেশ কিছু ভ্যাকসিন। প্রতিযোগিতায় রয়েছে ভারতও। দেশটিতে মহামারি করোনাভাইরাস সংক্রমিত কোভিড-১৯ রোগ প্রতিরোধে সম্ভাব্য যে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চলছে তা ব্যবহারের অনুমোদন পেলে প্রথম দফায় ৩০ কোটি ভারতীয় ভ্যাকসিন পাবেন বলে জানানো হয়েছে।
টাইমস অব ইন্ডিয়া জানিয়েছে, যাদের করোনায় সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি অগ্রাধিকারভিত্তিতে প্রথম দফায় এমন ৩০ কোটি মানুষ ভ্যাকসিন পাবেন। তালিকায় থাকা চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, বয়স্ক ও ‘কো-মর্বিডিটি’ রয়েছেন এমন মোট ৬০ কোটি মানুষকে দেয়া করোনা ভ্যাকসিনের ডোজ।
ব্যবহারের ছাড়পত্র পেলে প্রথম দফায় দেয়া হবে বুস্টার ডোজ। এ তালিকায় থাকছেন ৫০ থেকে ৭০ লাখ চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী, ২ কোটিরও বেশি ফ্রন্টলাইন কর্মী (পুলিশ, মিউনিসিপাল কর্মী, সশস্ত্র বাহিনী), ৫০ বছর বা তার বেশি বয়সী প্রায় ২৬ কোটি মানুষ এবং ৫০ এর কম বয়সী অথচ ‘কো-মর্বিডিটি’ রয়েছে এমন মানুষ।
ভারতে বর্তমানে মানবদেহে পরীক্ষা চালানো হচ্ছে সম্ভাব্য তিনটি ভ্যাকসিনের। এর মধ্যে তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল চলছে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার তৈরি ভ্যাকসিনের। দেশটির কেন্দ্রীয় সরকার জানিয়েছে, আগামী নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বরের শুরুরদিকে ভ্যাকসিনটির তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালের তথ্য হাতে আসবে।
বিভিন্ন কেন্দ্রীয় ও রাজ্য পর্যায়ের সংস্থার কাছ থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিশেষজ্ঞদের একটি দল ভ্যাকসিন দেয়ার প্রক্রিয়া সংক্রান্ত খসড়া তৈরি করেছে। ভারতে অগ্রাধিকারভিত্তিতে ভ্যাকসিন দেয়ার কর্মপরিকল্পনা তৈরি করার আগে তারা পর্যবেক্ষণ করেছেন সিডিসি, অ্যাটলান্টা এবং বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার খসড়া।প্রথম দফায় দেশের মোট জনসংখ্যার ২৩ শতাংশকে ভ্যাকসিন দেয়ার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে ভারত।