ভারতের বিদায়ী হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশ বলেছেন, যেকোনো দুর্যোগে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে। তিনি আজ খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই আশ্বাস দেন। আজ দুপুর ৩টায় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের অফিস কক্ষে এ সাক্ষাৎ অনুষ্ঠিত হয়। এসময় খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম উপস্থিত ছিলেন।বৈঠকে তারা পরস্পর শুভ জন্মাষ্টমীর শুভেচ্ছা বিনিময় করেন। রিভা গাঙ্গুলি দাশ শোকের মাসে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানসহ ১৫ আগস্ট শাহাদাৎ বরণকারী সকলের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করে দ্বিপাক্ষিক স্বার্থ-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা শুরু করেন।চলমান মহামারী কোভিড-১৯ ও বন্যা পরিস্থিতি নিয়েও তাদের মধ্যে আলোচনা হয়। উভয় দেশেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে অভিমত ব্যক্ত করা হয়। রিভা গাঙ্গুলি দাশ যেকোনো দুর্যোগে ভারত সবসময় বাংলাদেশের পাশে থাকবে বলে আশ্বস্ত করেন।এ সময় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বাংলাদেশে দায়িত্ব পালনকালে আন্তরিক সহযোগিতার জন্য বিদায়ী হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলি দাশকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান এবং তার পরবর্তী কর্মজীবনের সফলতা কামনা করেন। সূত্র : বাসস
আরও-পড়ুন=রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের কাছে আজ বঙ্গভবনে তিন দেশের রাষ্ট্রদূত তাদের পরিচয়পত্র পেশ করেছেন।রাষ্ট্রদূতরা হচ্ছেন- সুইজারল্যান্ডের নাথালিয়ে চুয়ার্ড, দক্ষিণ কোরিয়ার লি জাং কিউন এবং ভুটানের রিনচেন কুয়েন্টসি।রাষ্ট্রদূতদের স্বাগত জানিয়ে আবদুল হামিদ বলেন, দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চমৎকার দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক বিদ্যমান রয়েছে। রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নাল আবেদিন বাসস’কে এ কথা জানান।রাষ্ট্রদূতদের দায়িত্ব পালনকালে দেশগুলোর সঙ্গে বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আবদুল হামিদ আশা প্রকাশ করেন।সুইজারল্যান্ডকে বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের গুরুত্বপূর্ণ গন্তব্য হিসেবে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি ভবিষ্যতে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ খাতে দুই দেশের বন্ধন আরো জোরদার হবে বলে আশা প্রকাশ করেন।
সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রপতি ভুটানের দূতকে বলেন, দুই দেশের মধ্যে চমৎকার সম্পর্ক বিরাজ করছে। তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে ভুটান প্রথম স্বাধীন বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয়। এরপর থেকে দিনে দিনে দুই দেশের বন্ধন শক্তিশালী হতে থাকে।দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের পরিচয়পত্র গ্রহণ করে আবদুল হামিদ চলমান করোনাভাইরাস মোকাবেলায় সহায়তা প্রদানের জন্য সেদেশের সরকারকে ধন্যবাদ জানান।আবদুল হামিদ ধনী-গরীব নির্বিশেষে সবাই যাতে করোনাভাইরাসের টিকা পেতে পারে সেজন্য সকল বহুজাতিক সংস্থাকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।সাক্ষাৎকালে রাষ্ট্রদূতরা বাংলাদেশে তাদের দায়িত্ব পালনকালে রাষ্ট্রপতির সহযোগিতা কামনা করেন।এ সময় রাষ্ট্রপতির সংশ্লিষ্ট সচিব এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। এর আগে রাষ্ট্রদূতরা বঙ্গভবনে পৌঁছলে রাষ্ট্রপতির গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল তাদেরকে গার্ড অব অনার প্রদান করে।