তামিলনাড়ুর কারুরে ম’র্মান্তিক ভাবে মৃ’ত্যু হল মা-সহ দুই যমজ স’ন্তানের। স্থানীয়সূত্রে জানা গিয়েছে যে, মোবাইল ফোনের চার্জার থেকেই আ’গুন ধরে যায় বাড়িতে। আর তার জেরেই মা এবং তাঁর দুই স’ন্তানের মৃ’ত্যু হয়। ঘটনাস্থলেই অর্থাৎ বাড়িতেই মা’রা যান ওই মা। আর হাসপাতাল নিয়ে যাওয়ার পথে মৃ’ত্যু হয় তাঁর যমজ দুই স’ন্তানের।পুলিশসূত্রে জানা গিয়েছে, কারুরের কাছে রায়ানূরে বাড়ি ২৯ বছরের





মুথুলক্ষ্মীর। তাঁর দুই স’ন্তানের বয়স মাত্র ৩ বছর। ছয় বছর আগেই ৩১ বছরের বালাকৃষ্ণণের সঙ্গে বিয়ে করেন তিনি। যুগলে রায়ানূরের অনতিদূরেই একটি ছোট্ট হোটেলের ব্যবসা করতেন। অ’ভিযোগ, এই বালাকৃষ্ণণ তার স্ত্রী মুথুলক্ষ্মীর উপরে খুবই অ’ত্যাচার করতেন। আর





তারপরই বরের থেকে দূরে সরে যান মুথুলক্ষ্মী। দুই ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কারুরে মা-বাবার কাছে থাকতে শুরু করেন তিনি। কিছু দিন আগেই মা-বাবাকে এক আত্মীয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছিলেন মুথু। কারণ তাঁর পরিবার খুবই অর্থাভাবের উপর দিয়ে যাচ্ছিল এই লকডাউনের সময়ে।





রবিবার রাতে বাড়িতে সোফাতেই ঘুমিয়ে পড়েছিলেন মুথুলক্ষ্মী। আর মোবাইল ফোনটি চার্জে বসানো ছিল তাঁর খুবই কাছে। সোমবার ভোরবেলা মুথুর পড়শিরা খবর দেন দমকল দফতরকে। কারণ তাঁরা সকালে উঠেই লক্ষ্য করেন যে, মুথুর বাড়ি থেকে আ’গুন বেরোচ্ছে। দুই দমকল কর্মীই বাড়িতে ঢুকে দেখেন মেঝেতে মুথুলক্ষ্মীর দেহ পড়ে রয়েছে। আর দুই স’ন্তান পাশের ঘরে অচৈতন্য অবস্থায় পড়ে আছে। দমকল এবং





উ’দ্ধারকর্মীরা ওই দুই বাচ্চাকে তখন হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিন্তু পথেই তাদের মৃ’ত্যু হয়।পরবর্তীতে পুলিশ তাদের দেহ কারুরের স’রকারি হাসপাতালে ম’য়নাত’দন্তের জন্য নিয়ে যায়। ম’য়নাত’দন্তের পর মুথুলক্ষ্মীর মা-বাবার হাতে তুলে দেওয়া হয় মা-সহ দুই স’ন্তানের মৃ’তদেহ। তবে পুলিশ এখনও নিশ্চিত হতে পারছে না যে, এই মৃ’ত্যু আদৌ মোবাইল ফোনের বি’স্ফোরণ থেকেই কি না।আর সেই জন্যই এফআইআর





দা’য়ের করা হয়েছে। এক বছর আগে ঠিক এই ধরনেরই আর একটি কাণ্ড ঘটেছিল তামিলনাড়ুতে। কৃষ্ণগিরি জে’লায় মোবাইল ফোন বি’স্ফোরণে কঠিন ভাবে মুখে আ’ঘাত পেয়েছিলেন ৩০ বছরের এক ব্যক্তি।সূত্রঃ এইসময়




