banglatraffic.com
Wednesday , 12 August 2020 | [bangla_date]
  1. 1
  2. Blog
  3. hello world
  4. Hello world!
  5. New
  6. news
  7. Online Dating
  8. Paribahis
  9. Микрокредит
  10. অন্যান্য
  11. অপরাধ
  12. অর্থনীতি
  13. আন্তর্জাতিক
  14. করোনা আপডেট
  15. খেলাধূলা

মুখোমুখি প্রদীপ-লিয়াকত: একে অন্যকে দোষ দিয়ে ঘটনার বর্ণনা দিলেন তারা

প্রতিবেদক
News24
August 12, 2020 10:15 am

কক্সবাজারের মেরিন ড্রাইভ রোডে অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা হত্যা মামলার অন্যতম আসামি টেকনাফ থানার ওসি প্রদীপ কুমার দাশ ও পরিদর্শক লিয়াকত আলী ঘটনার বিষয়ে একে অন্যকে মদ্যপ বলে পরস্পরকে দোষারোপ করছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এসব তথ্য জানা গেছে। একটি জাতীয় দৈনিকসহ কয়েকটি গণমাধ্যমে এমন খবর প্রকাশ পায়।

গণমাধ্যমগুলোতে দাবি করা হয়, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ওসি প্রদীপ জানিয়েছেন, ঘটনার সময় লিয়াকত মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন। অন্যদিকে পরিদর্শক লিয়াকতের দাবি ওসি প্রদীপ ঘটনাস্থলে আসেন মদ্যপ অবস্থায়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে লিয়াকত দাবি করেছেন যে, বাহাড়ছড়ার দিক থেকে সিনহার যে গাড়িটি আসছিল ওই গাড়িটি আটকানোর জন্য ওসি প্রদীপই তাকে নির্দেশ দিয়েছিলেন।

শুধু গাড়ি আটকানোর নিদের্শ দেননি সঙ্গে এও বলেছিলেন যে, মসজিদের মাইকে ঘোষণা করা হয়েছে, পাহাড়ে ডাকাত দলের সদস্যরা মিটিং করছে। তারা বাহারছড়ার দিকে আসছে। যে গাড়িটি আসছে ওই গাড়িতে ডাকাত দলের সদস্যরা আছে। সতর্কভাবে গাড়িটি আটকাতে। যাতে তারা ক্রস করতে না পারে। এজন্য সড়কে কোনো রকমের ফাঁক না রেখে আড়াআড়িভাবে অবরোধ বসিয়েছিলেন লিয়াকত। লিয়াকত এও দাবি করেছেন, ওসি প্রদীপ যখন তার সঙ্গে কথা বলছিলেন তখন তিনি মদ্যপ অবস্থায় ছিলেন।গাড়িটি আসার পর পরই লিয়াকত সিনহাকে গুলি করে। গুলির পরেও সিনহা অনেকক্ষণ বেঁচে ছিলেন।

তার পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পরও কেন তাকে দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলো না প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদের এমন প্রশ্নে তারা কোনো সন্তোষজনক উত্তর দিতে পারেননি। ঘটনার পরের দিন সকালে প্রদীপ মোবাইল ফোনে যে একজন আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন তা জেলার একজন ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তার পরামর্শক্রমে করেছিলেন বলে প্রদীপ দাবি করেছেন। সিনহা হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় প্রদীপ-লিয়াকতসহ ৭ জন পুলিশসকে আদালত রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।

র‌্যাব তাদের এখনো আনুষ্ঠানিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করতে পারেনি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করার বিষয়টি প্রক্রিয়াধীন আছে বলে জানা গেছে।র‌্যাব জানিয়েছে, ইতিমধ্যে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা সরজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তারা আশেপাশের লোকজনের সঙ্গে কথা বলে যেসব তথ্য পেয়েছেন তা চুলচেরা বিশ্লেষণ চলছে। সেইগুলো মামলার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ।

সব প্রক্রিয়া শেষ করার পর এবং সরজমিনের সব তথ্য যাচাই-বাছাই করার পর আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করা হবে। এতে আসামিরা মিথ্যা তথ্য দিয়ে নিজেদের দায় এড়ানোর চেষ্টা করলেও তখন সরজমিনের তথ্যগুলো তাদের সামনে উপস্থাপন করা হবে বলে র‌্যাব জানিয়েছে। এ বিষয়ে র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ গতকাল একটি জাতীয় দৈনিককে জানান, ‘আসামিদের রিমান্ডে এখনো আনা হয়নি। রিমান্ডে আনার আগে কিছু হোম ওয়ার্ক আছে সেগুলো করা হচ্ছে। খুব শিগগিরই রিমান্ডে আনা হবে।’

সর্বশেষ - অন্যান্য