চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলার উপকূলীয় খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় স্থায়ী বেড়িবাঁধ না থাকায় মাটি দিয়ে তৈরি অস্থায়ী বেড়িবাঁধের ভাঙন শুরু হয়েছে।এলাকাবাসীর দাবি, আরসিসি ব্লক দিয়ে স্থায়ী বেড়িবাঁধ নির্মাণের। কদমরসুল গ্রামে ঝুঁকির মধ্যে বসবাস করছেন এক কিলোমিটার এলাকার দুইশতাধিক পরিবার।
সরকারিভাবে পর্যটন এলাকা হিসাবে ঘোষণা আসার অপেক্ষায় রয়েছেন খানখানাবাদ ও বাহারছড়া ইউনিয়নের উপকূলীয় এলাকা।সম্প্রতি পর্যটন কর্পোরেশনের কর্মকর্তারা সাগরকূল পরিদর্শন করে গেছেন। বেড়িবাঁধের ওপর পর্যটক আকর্ষণ করতে রোপিত ঝাউবাগানটি ও বাঁধের ভাঙনের ফলে ধসে পড়ে বিলীন হয়ে যাচ্ছে।
বাঁশখালী পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা যায়, পোল্ডার নং ৬৪/১এ, ৬৪/১বি ও ৬৪/১সি অংশে ২৯৩ কোটি টাকার নির্মাণকাজ চলমান রয়েছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ৩৪টি প্যাকেজে ২০১৫ সাল থেকে টেন্ডার আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু করলেও এখনও কাজ শেষ হয়নি।
এই কাজের বাহিরে কদমরসুল এলাকাটির বিভিন্ন অংশে বেড়িবাঁধের ভাঙন দেখা দিয়েছে। বেড়িবাঁধের ভাঙন অংশ দিয়ে অমাবশ্যা ও পূর্ণিমার উচ্চ জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ছে। এ সময় মানুষ আতঙ্কের মধ্যে বসবাস করেন এলাকাবাসী।সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, বাঁশখালী উপকূলের সাগরের উচ্চ জোয়ার ঝাউবাগানের গাছগুলোতে আঁচড় দিচ্ছে। কদমরসুল এলাকার বেড়িবাঁধের অংশ দফায় দফায় ভাঙন চলছে।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান, অমাবশ্যা পূর্ণিমার সময় বাঁধের ভাঙন দিয়ে মানুষের বাড়িঘর ও বিভিন্ন মৎস্যঘের জোয়ারের পানিতে তলিয়ে গেছে।কদমরসুল গ্রামের বাসিন্দা নুরুন নবী জানান, ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান খানখানাবাদ অংশে আরসিসি ব্লক ও বালির বস্তা বসিয়ে এক বছর আগে কাজ শেষ করেছে। যে অংশে কাজ শেষ হয়েছে, সেই অংশের পাশ দিয়ে বেড়িবাঁধের ভাঙন শুরু হয়েছে। দিন দিন ভাঙন বাড়ছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী আবু তাহের বলেন, খানখানাবাদ ইউনিয়নের কদমরসুল এলাকায় বেড়িবাঁধের কিছু অংশ ভেঙে গেছে।এই ভাঙন ঠেকাতে প্রাক্কলন তৈরির পর প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে। বরাদ্দের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন করা হয়েছে। বরাদ্দ আসলেই শিগগিরই টেন্ডার আহ্বান করা হবে।