চলতি বছরের শুরু থেকেই বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া মহামারী করোনা ভাইরাসের কারনে স্থবিরতা দেখা গিয়েছিল গোটা বিশ্বেই। সময় গড়ানোর সাথে সাথে রোগী শনাক্ত ও লাশের মিছিল দীর্ঘ হচ্ছে সব দেশেই। বিশেষ করে আমেরিকা ও ইউরোপের দেশ সমূহে করোনার দাপট ছিল অন্যান্য দেশ থেকে বেশি। পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতেও ভয়াবহ রূপ ধারন করেছে এই কোভিড-১৯ ভাইরাস।কখনও রেমডিসিভির আবার কখনও ভিন্ন কোনো





ঔষধ দিয়ে করোনা নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করলেও শেষ পর্যন্ত ধোপে টিকেনি কোনোটাই। তাই একমাত্র ভরসা ভ্যাকসিনই। করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কারের দৌড়ে অবশ্য দেড় শতাধিক প্রতিষ্ঠান যুক্ত হয়েছে। তবে সবার আগে বাজারে ভ্যাকসিন আনতে যাচ্ছে রাশিয়া। আগামী ১২ আগস্ট





রাশিয়ার তৈরি ভ্যাকসিন বাজারে আসতে যাচ্ছে। গামালেই ইনস্টিটিউট অব এপিডেমিওলজি অ্যান্ড মাইক্রোবায়োলজি এই ভ্যাকসিন বাজারজাত করবে।১২ আগস্ট বাজারে ভ্যাকসিন আসার খবর ইতোমধ্যেই প্রকাশ হয়েছে মস্কো টাইমস, ইকোনোমিক্স টাইমস, এক্সপ্রেস ফার্মা, টাইমস অব ইন্ডিয়া ও বিজনেস টুডের মত আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে।





অন্যদিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে ১৬০০ স্বেচ্ছাসেবক ব্যক্তির উপর এই টিকা প্রয়োগের পর দেখা গিয়েছে তা করোনার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়তে সক্ষম হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবিদের দেহে কোনো প্রকার পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা যায়নি বলেও দাবি করা হয়েছে।রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরশেকো গত সপ্তাহেই জানিয়েছিলেন বাজারে টিকা ছাড়ার আদেশ জারি হয়ে গিয়েছে। টিকা উৎপাদনের কাজও





চলছে দ্রুত গতিতে। চলতি বছরে ৪ কোটিরও বেশি ডোজ তৈরি করবে রাশিয়া। পাশাপাশি তৃতীয় ধাপের ট্রায়ালও চলমান থাকবে। দেশটির শিল্পমন্ত্রী জানিয়েছেন আগামী মাস থেকে টিকা উৎপাদনের গতি আরও বাড়ানো হবে।উল্লেখ্য, করোনা ভাইরাসের প্রতিশেধক আবিষ্কারের দৌড়ে এগিয়ে আছে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও চীনের একটি প্রতিষ্ঠান। অক্সফোর্ডের তৈরি ভ্যাকসিন ইতোমধ্যেই তৃতীয় ধাপের ট্রায়াল শেষ করার পর বৃহৎ পরিসরে আবারও পরীক্ষা করার পরই বাজারে আনবে তাদের টিকা।




