করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) পরিস্থিতির মধ্যে টিউশন ফি আদায় সংক্রান্ত নতুন নিদের্শনা দিতে যাচ্ছে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদফতর (মাউশি)। চলতি মাসে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হবে। আর্থিক সংকটে থাকা অভিভাবকদের সন্তানদের টিউশন ফি’র কিছু অংশ ছাড় দিয়ে পরিশোধ করার নির্দেশনা দেয়া হতে পারে বলে জানা গেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে মাউশির মহাপরিচালক অধ্যাপক ড. সৈয়দ গোলাম ফারুক বৃহস্পতিবার (২২ অক্টোবর) জাগো নিউজকে বলেন, ঢালাওভাবে কোনো নির্দেশনা দেয়া হবে না। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে কিছু অভিভাবক নানাভাবে আর্থিক সংকটের মধ্যে পড়েছেন। তাদের সন্তানদের টিউশন ফি আদায়ে কিছুটা ছাড় দিতে বলা হবে।
তিনি বলেন, রাজধানী ঢাকাসহ দেশের জেলা শহরের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে টিউশন ফি সংক্রান্ত বিষয়ে কিছুটা জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে। এমন প্রতিষ্ঠানের হার প্রায় ২০ শতাংশ হতে পারে। এসব প্রতিষ্ঠানে যেসব শিক্ষার্থী টিউশন ফি দিতে পারছে না তাদের বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা তৈরির কাজ শুরু করেছি। চলতি মাসের মধ্যে এটি জারি করা হবে।
জানা গেছে, রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের বেসরকারি নামি-দামি স্কুলে নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে অভিভাবকদের কাছ থেকে টিউশন ফি আদায় করা হচ্ছে। অনেক প্রতিষ্ঠান আবার অনলাইন পরীক্ষা নেয়ার কথা বলে সকল বকেয়া পরিশোধ করতে বাধ্য করছে। দিতে ব্যর্থ হলে শিক্ষার্থীকে পরবর্তী ক্লাসে উন্নীত করা হবে না বলেও জানিয়ে আসছে। এমন পরিস্থিতিতে সন্তানের টিউশন ফি নিয়ে বিপাকে পড়েছেন অভিভাবকরা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে অভিভাবক ফোরামের সভাপতি জিয়াউল কবির দুলু জাগো নিউজকে বলেন, করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় আমরা বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৫০ শতাংশ টিউশন ফি মওকুফের দাবি জানিয়ে আসছি। বর্তমানে অনেকে আর্থিক সমস্যায় থাকায় তারা দিতে পারছে না, কিন্তু স্কুল কর্তৃপক্ষ নানাভাবে চাপ সৃষ্টি করে টিউশনসহ নানা ধরনের বাড়তি ফি আদায় করার চেষ্টা করছে। আমরা এর প্রতিবাদ জানিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়সহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন দফতর-সংস্থায় আবেদন জানিয়েছি।দ্রুত ৫০ শতাংশ টিউশন ফি ছাড় দেয়ার নির্দেশনা জারিরও দাবি জানান তিনি।
করোনা পরিস্থিতির মধ্যে দ্বিতীয় দফায় ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের আর্থিক অনুদান দেয়ার চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। এ জন্য নতুন করে শিক্ষক-কর্মচারীদের তালিকা হালনাগাদের কাজ শুরু হয়েছে।রোববার (২৫ অক্টোবর) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের উপসচিব মো. কামরুল হাসান স্বাক্ষরিত এ-সংক্রান্ত নির্দেশনা জারি করা হয়েছে।
নির্দেশনায় বলা হয়, ইআইআইএনধারী সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ননএমপিও শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্যাদি ছক মোতাবেক জরুরি ভিত্তিতে প্রয়োজন।শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের আওতাধীন সকল নিম্ন মাধ্যমিক, মাধ্যমিক, স্কুল অ্যান্ড কলেজ, উচ্চমাধ্যমিক ও ডিগ্রি কলেজের শিক্ষক-কর্মচারীদের তথ্যাদি জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা/উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা/থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তার মাধ্যমে হালনাগাদ করে সংযুক্ত ছক মোতাবেক আগামী ৫ নভেম্বরের মধ্যে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্ধারিত ওয়েবসাইটে পাঠাতে হবে।