banglatraffic.com
Saturday , 17 October 2020 | [bangla_date]
  1. 1
  2. Blog
  3. hello world
  4. Hello world!
  5. New
  6. news
  7. Online Dating
  8. Paribahis
  9. Микрокредит
  10. অন্যান্য
  11. অপরাধ
  12. অর্থনীতি
  13. আন্তর্জাতিক
  14. করোনা আপডেট
  15. খেলাধূলা

চাঁদাবাজি ও দুর্নীতি, ইউপি চেয়ারম্যান সুজন বরখাস্ত

প্রতিবেদক
News24
October 17, 2020 1:08 pm

সাভার উপজেলার বিরুলিয়া ইউনিয়নের বিতর্কিত চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে চাঁদাবাজি ও দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে।স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ ইফতেখার আহমেদ চৌধুরী স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে বিষয়টি জানানো হয়।

২৯ সেপ্টেম্বর সাভার মডেল থানায় সাইদুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা হয়। ওই দিন রাতেই বিরুলিয়ার কাকাবো এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। বর্তমানে তিনি জামিনে রয়েছেন।১৪ অক্টোবর স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপন থেকে জানা যায়, বেআইনিভাবে অন্যের জমিতে প্রবেশ করে পথরোধ, মারপিট করে চাঁদা আদায় ও হুমকি দেয়ার অভিযোগে

চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনের বিরুদ্ধে সাভার মডেল থানায় মামলা করা হয়। এরই মধ্যে সাময়িকভাবে তাকে বরখাস্ত করা হলো।এ আদেশ যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে জনস্বার্থে জারি করা হলো এবং তা অবিলম্বে কার্যকর হবে বলেও প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে।

এ বিষয়ে বিরুলিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজন বলেন, চেয়ারম্যান থাকা অবস্থায় কেন আমি চাঁদাবাজি মামলায় গ্রেফতার হলাম এবং কারাভোগ করলাম সেই বিষয়টি জানতে চেয়ে আমাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে। তবে সাময়িক বরখাস্তের কোনো নোটিশ পাইনি।

জানতে চাইলে সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শামীম আরা নিপা বলেন, ইউপি চেয়ারম্যান সাইদুর রহমান সুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে মন্ত্রণালয়।অনেকটা গোপনে ১১ জনকে অভিযুক্ত করে ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন সিলেট বিভাগীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপন (৪০) হত্যা মামলার অভিযোগপত্র আদালতে দেয়া হয়েছে।

সোমবার (১২ অক্টোবর) দক্ষিণ সুরমা থানা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মো. লোকমান হোসাইন সিলেটের মুখ্য মহানগর হাকিম (তৃতীয়) আদালতের বিচারক শারমিন খানম নিলার কাছে অভিযোগপত্রটি দেন।অভিযোগপত্রে ১১ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে মামলার এজাহারভুক্ত ১৩ আসামির মধ্যে চার্জশিটে ছয়জনকে, আসামিদের স্বীকারোক্তির ভিত্তিতে মামলার অজ্ঞাত আসামির মধ্য থেকে আরও পাঁচজন হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকায় মোট ১১ জনকে অভিযুক্ত করে এ হত্যা মামলার চার্জশিট দেয়া হয়।

এজাহারভুক্ত অপর সাতজনকে মামলার দায় থেকে অব্যাহতি দিতে চার্জশিটে সুপারিশ করা হয়েছে। তবে হত্যার পর নিহতের স্ত্রীর দায়ের করা মামলায় রেলওয়ে স্টেশন সিলেটের মাস্টারসহ তিন কর্মকর্তাকে মামলার এজাহারে আসামি করা হয়।তদন্তে তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত না হওয়ায় মামলা থেকে নাম বাদ দেয়ার জন্য চার্জশিটে সুপারিশ করেছেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা। অব্যাহতি পাওয়া তিনজন হলেন- সিলেট রেলওয়ের স্টেশন মাস্টার মতিন ভুঁইয়া (৫৫), রেলওয়ে আইডাব্লিউ শাখার আকবর হোসেন মজুমদার (৪৮) ও ওয়ার্কার সুপারভাইজার শহিদুল হক (৫৮)।

মামলার চার্জশিটভুক্ত ১১ আসামির মধ্যে এজাহারনামীয় ছয় আসামি হলেন- দক্ষিণ সুরমার বরইকান্দি ১ নম্বর রোডের মৃত ফরিদের ছেলে ইজাজুল (২৮), মৃত ফারুক মিয়ার ছেলে রেজওয়ান হোসেন রিমু (২৮), মৃত আব্দুল করিম মনজ্জিরের ছেলে মুহিবুর রহমান মুন্না (৩০), মৃত আসদ্দর আলীর ছেলে মোহাম্মদ মোস্তফা (৪০), মৃত ফরিদ মিয়ার ছেলে ইসমাইল আহমদ (৩০) ও স্থানীয় সাঙ্গু গ্রামের মৃত কবির মিয়ার ছেলে নোমান আহমদ (৩৯)।

এছাড়া অজ্ঞাতদের মধ্যে তদন্তে ও আসামিদের স্বীকারোক্তিতে হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার বিষয়টি প্রমাণিত হওয়ায় চার্জশিটে অভিযুক্ত পাঁচজন হলেন- তারেক আহমদ, সাইদুল ইসলাম, অপু, সানি আহমদ ও সাগর হোসেন সাগর।তদন্ত কর্মকর্তা মো. লোকমান হোসাইন বলেন, রিপন হত্যা মামলায় গ্রেফতারকৃত কারাগারে থাকা আসামিদের স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি ও বিভিন্ন সোর্স এবং স্থানীয় সাক্ষীদের জবানবন্দির ভিত্তিতে ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয়া হয়েছে। পলাতকদের গ্রেফতারের জন্য গ্রেফতারি পরোয়ানা ইস্যুর আবেদন করা হয়েছে।

আদালত সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আগামী ২০ অক্টোবর রিপন হত্যা মামলার ধার্য তারিখ রয়েছে। ওই দিন আদালতের বিচারকের কাছে অভিযোগপত্র উপস্থাপন করা হবে। পরে আদালতের আদেশ অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।১০ জুলাই রাত ১০টার দিকে নগরের দক্ষিণ সুরমার বাবনা পয়েন্টে সিলেট ট্যাংক লরি শ্রমিক ইউনিয়ন, বিভাগীয় শাখার সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেন রিপনকে কুপিয়ে ও ছুরিকাঘাত করে হত্যার ঘটনা ঘটে।ঘটনার পরদিন রিপনের স্ত্রী ফারজানা আক্তার তমা বাদী হয়ে দক্ষিণ সুরমা থানায় মামলা করেন। মামলায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ করে অচেনা আরও পাঁচ-সাতজনকে আসামি করা হয়। মামলায় সিলেট রেলওয়ের স্টেশন মাস্টারসহ একাধিক কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে আসামি করা হয়েছিল।

সর্বশেষ - অন্যান্য