পবিত্র কা’বা ঘরের ইমাম শাইখ ড: আবদুর রহমান আল-সুদাইসের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন স্টিভ নামক একজন
স্টিভ মক্কায় শাইখ আল-সুদাইসের সাথে সাক্ষাত করার পর কালেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
আন্তর্জাতিক আমেরিকান এই পর্যটক ইসলাম গ্রহণের পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, শাইখ সুদাইস-সহ আরো অন্যান্য ব্যক্তি, যারা ইসলামের শিক্ষা দিয়ে আমার অন্তরে ঈমানের আলো জ্বেলেছেন, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এসময় শাইখ সুদাইস বলেন, এখন থেকে আমি আর স্টিভ একে অপরের মুসলিম ভাই। ইসলামের বিশুদ্ধতা ও মহান আল্লাহর একত্ববাদের চমৎকার শিক্ষাই মূলত স্টিভের অন্তরে ইসলামের জন্য চিরন্তন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে।
এছাড়াও, মুসলিমদের বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে সহনশীলতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা দেখে স্টিভ কীভাবে এর দ্বারা গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়েছিল তাও বর্ণনা করেন শাইখ সুদাইস।
সৌদি আরবে ভ্রমণের সময় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্টিভের ইসলাম গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিল তা হল, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, প্রতিবেশী শিষ্টাচার, সহনশীলতা, ভ্রাতৃত্ব এবং সৌদি আতিথেয়তা।
মায়ামির ট্যুরিজম সেক্টরে কর্মরত স্টিভ তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুর সাথে সৌদি আরবের আভা শহর ভ্রমণে ছিলেন। কাকতালীয়ভাবে সেখানে শাইখ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসও উপস্থিত ছিলেন।
স্টিভের সাথে কিভাবে সাক্ষাৎ হয়েছে জানতে চাওয়া হলে শাইখ সুদাইস বলেন, আমার পাশেই একজন আমেরিকান ট্যুরিস্ট অবস্থান করছে জানতে পেরে আমি তাকে জমজমের পানি, খেজুর ও সৌদি কফি উপহার স্বরূপ দিয়েছিলাম। আর এভাবেই তার সাথে আমার পরিচয়।
শাইখ সুদাইসের মুখপাত্র আল-মাতাফী বলেন, ইসলাম সম্বন্ধে আরো বেশি জানতে স্টিভ ক্রমাগত আগ্রহ প্রকাশ করতেন এবং বেশি বেশি ইসলামী শিক্ষা সম্পর্কীয় বইপত্র পড়তেন।
তিনি বলেন, স্টিভের সাথে আলাপকালে শাইখ সুদাইস পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত তিলাওয়াত করেন, যে আয়াতগুলোতে মুসলমানদেরকে তাদের প্রতিবেশীদের সাথে সদাচরণ ও একে অপরের হক আদায় করার ব্যাপারে হুকুম দেওয়া হয়েছে।
তিনি স্টিভকে বিশেষত হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার এক প্রতিবেশী ইহুদী বৃদ্ধার কাহিনী শুনিয়েছিলেন, যে বৃদ্ধা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর আবর্জনা নিক্ষেপ করতো। কিন্তু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে তার উপর দয়া প্রদর্শন করতেন। একদিন যখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতে পারলেন যে তার প্রতিবেশী বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়েছে,তখন তিনি বৃদ্ধাকে দেখতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন।
আল-মাতাফ বলেন, এই কাহিনী শুনিয়ে শাইখ সুদাইস স্টিভকে বলেছিলেন, প্রতিবেশীদের বিষয়ে আমাদের সকলের জন্য এই ঘটনাটি একটি অমূল্য জীবন পাঠ যা সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এই ঘটনার সমস্ত গুণাবলী আর মুসলমানদের মাঝে তার প্রত্যক্ষ করা গুণাবলি মিলে যাওয়ায় স্টিভ অনেক আশ্চর্য হওয়ার পাশাপাশি মুগ্ধও হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে মুসলমান হওয়ার পর শাইখ সুদাইস অতিথি স্টিভকে মক্কায় পবিত্র কা’বা ঘরের ওমরা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবারক জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণ জানালে স্টিভ অত্যন্ত খুশি হন।
মুখপাত্র আল -মুতরাফী বলেন, স্টিভ এতোটাই সুখের আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলেন যে তার চোখ থেকে আনন্দাশ্রু বেয়ে পরছিলো।
সূত্র ইনসাফপবিত্র কা’বা ঘরের ইমাম শাইখ ড: আবদুর রহমান আল-সুদাইসের হাতে ইসলাম গ্রহণ করেছেন স্টিভ নামক একজন
স্টিভ মক্কায় শাইখ আল-সুদাইসের সাথে সাক্ষাত করার পর কালেমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
আন্তর্জাতিক আমেরিকান এই পর্যটক ইসলাম গ্রহণের পর আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করে বলেন, শাইখ সুদাইস-সহ আরো অন্যান্য ব্যক্তি, যারা ইসলামের শিক্ষা দিয়ে আমার অন্তরে ঈমানের আলো জ্বেলেছেন, আমি তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।
এসময় শাইখ সুদাইস বলেন, এখন থেকে আমি আর স্টিভ একে অপরের মুসলিম ভাই। ইসলামের বিশুদ্ধতা ও মহান আল্লাহর একত্ববাদের চমৎকার শিক্ষাই মূলত স্টিভের অন্তরে ইসলামের জন্য চিরন্তন প্রতিক্রিয়া সৃষ্টিতে সহায়তা করেছে।
এছাড়াও, মুসলিমদের বিভিন্ন ধর্মের লোকদের সাথে সহনশীলতা এবং শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান বজায় রাখা দেখে স্টিভ কীভাবে এর দ্বারা গভীরভাবে আকৃষ্ট হয়েছিল তাও বর্ণনা করেন শাইখ সুদাইস।
সৌদি আরবে ভ্রমণের সময় যে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো স্টিভের ইসলাম গ্রহণ করার ক্ষেত্রে ভূমিকা রেখেছিল তা হল, শান্তিপূর্ণ সহাবস্থান, প্রতিবেশী শিষ্টাচার, সহনশীলতা, ভ্রাতৃত্ব এবং সৌদি আতিথেয়তা।
মায়ামির ট্যুরিজম সেক্টরে কর্মরত স্টিভ তার ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বন্ধুর সাথে সৌদি আরবের আভা শহর ভ্রমণে ছিলেন। কাকতালীয়ভাবে সেখানে শাইখ আব্দুর রহমান আস-সুদাইসও উপস্থিত ছিলেন।
স্টিভের সাথে কিভাবে সাক্ষাৎ হয়েছে জানতে চাওয়া হলে শাইখ সুদাইস বলেন, আমার পাশেই একজন আমেরিকান ট্যুরিস্ট অবস্থান করছে জানতে পেরে আমি তাকে জমজমের পানি, খেজুর ও সৌদি কফি উপহার স্বরূপ দিয়েছিলাম। আর এভাবেই তার সাথে আমার পরিচয়।
শাইখ সুদাইসের মুখপাত্র আল-মাতাফী বলেন, ইসলাম সম্বন্ধে আরো বেশি জানতে স্টিভ ক্রমাগত আগ্রহ প্রকাশ করতেন এবং বেশি বেশি ইসলামী শিক্ষা সম্পর্কীয় বইপত্র পড়তেন।
তিনি বলেন, স্টিভের সাথে আলাপকালে শাইখ সুদাইস পবিত্র কুরআনের বিভিন্ন আয়াত তিলাওয়াত করেন, যে আয়াতগুলোতে মুসলমানদেরকে তাদের প্রতিবেশীদের সাথে সদাচরণ ও একে অপরের হক আদায় করার ব্যাপারে হুকুম দেওয়া হয়েছে।
তিনি স্টিভকে বিশেষত হযরত মুহাম্মাদ মুস্তফা সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার এক প্রতিবেশী ইহুদী বৃদ্ধার কাহিনী শুনিয়েছিলেন, যে বৃদ্ধা প্রিয় নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের উপর আবর্জনা নিক্ষেপ করতো। কিন্তু নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ক্রুদ্ধ প্রতিক্রিয়া না দেখিয়ে তার উপর দয়া প্রদর্শন করতেন। একদিন যখন নবী কারীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জানতে পারলেন যে তার প্রতিবেশী বৃদ্ধা অসুস্থ হয়ে পড়েছে,তখন তিনি বৃদ্ধাকে দেখতে তার বাড়িতে গিয়েছিলেন।
আল-মাতাফ বলেন, এই কাহিনী শুনিয়ে শাইখ সুদাইস স্টিভকে বলেছিলেন, প্রতিবেশীদের বিষয়ে আমাদের সকলের জন্য এই ঘটনাটি একটি অমূল্য জীবন পাঠ যা সব প্রতিবেশী রাষ্ট্রগুলোর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য।
এই ঘটনার সমস্ত গুণাবলী আর মুসলমানদের মাঝে তার প্রত্যক্ষ করা গুণাবলি মিলে যাওয়ায় স্টিভ অনেক আশ্চর্য হওয়ার পাশাপাশি মুগ্ধও হয়েছিলেন।
পরবর্তীতে মুসলমান হওয়ার পর শাইখ সুদাইস অতিথি স্টিভকে মক্কায় পবিত্র কা’বা ঘরের ওমরা ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রওজা মোবারক জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আমন্ত্রণ জানালে স্টিভ অত্যন্ত খুশি হন।
মুখপাত্র আল -মুতরাফী বলেন, স্টিভ এতোটাই সুখের আনন্দে আত্মহারা হয়েছিলেন যে তার চোখ থেকে আনন্দাশ্রু বেয়ে পরছিলো।
সূত্র ইনসাফ