চলতি বছরের শুরুটাই হয়েছিল আতঙ্কের মধ্য দিয়ে। প্রথমে চীনের উহানে থাকলেও ধীরে ধীরে গোটা বিশ্বকে গ্রাস করতে শুরু করে মহামারী করোনা ভাইরাস। কোন প্রকার ভ্যাকসিন বা ঔষধ না থাকার কারনে মৃত্যুর সংখ্যাও দিন দিন বাড়তে থাকে, যা এখনও চলমান।দ্রুতই বাজারে করোনার ভ্যাকসিন আসতে যাচ্ছে ফলে কপাল থেকে চিন্তার ভাজও অনেকটা কেটে যাচ্ছে। পাশাপাশি শুরুর দিকে করোনা যেভাবে দাপট





দেখাচ্ছিল সেটাও কিছুটা কমে এসেছে এখন।করোনায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত দেশের তালিকায় উপরের দিকে রয়েছে আমেরিকা। দেশটির গবেষকরা বলছেন এখন আমেরিকা তো বটেই গোটা বিশ্বেই করোনার প্রকোপ কমতে শুরু করেছে। বিশেষজ্ঞদের দাবি বর্তমানে যে সকল





করোনা রোগী রয়েছে তাদের অধিকাংশেরই কোনো উপসর্গ নেই। এখন যদি করোনা ছড়াতে থাকেও তাহলে উপসর্গ না থাকার কারনে তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। আর এভাবেই ধীরে ধীরে কমতে থাকবে করোনার প্রকোপ।





এক সমীক্ষা বলছে দেশটির বস্টন আশ্রয় শিবিরে ১৪৭ জন করোনা রোগীর মধ্যে ৮৮ শতাংশ রোগীরই কোনো উপসর্গ দেখা যায়নি। অন্যদিকে নর্থ ক্যারোলিনা, আরকানসাস, ওহিও এবং ভার্জিনিয়ায় শনাক্ত হওয়া ৩ হাজার ২৭৭ জন রোগীর মধ্যে ৯৬ শতাংশেরই কোনো উপসর্গ নেই। এভাবে চলতে থাকলে কোনো ব্যক্তি যদি করোনায় আক্রান্ত হয়েও থাকে তাহলে তিনি আপনা আপনি সুস্থ হয়ে যাবে বলেও ধারনা করা হচ্ছে।বিশেষজ্ঞরা আরও বলছেন, কম বেশি সকলেই করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন। তবে তাদের মধ্যে কোনো উপসর্গ না থাকায় সেটা ধরা পড়েনি।





করোনার অনেক পরিমানে উপসর্গ রয়েছে তাই সহজে নির্ণয় করা সম্ভব হচ্ছে না কে আক্রান্ত হয়েছেন আর ভালোও হয়ে গেছেন।এমন অবস্থাকে অবশ্য পরিস্থিতি উন্নয়নের ধাপ হিসেবেই আখ্যা দিচ্ছেন তারা। কেননা ধীরে ধীরে সকলের দেহেই এন্টিবডি তৈরি হয়ে যাওয়ার ফলে করোনায় বড় কোনো ক্ষতি হওয়া থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।




