মা’দকের মামলায় ফাঁ’সিয়ে দিয়ে চাওয়া হয় টাকা। না দেয়ায় পুড়িয়ে দেয়া হয় মুরগির খামার। লণ্ডভণ্ড করা হয় বসতবাড়ি। টেকনাফ থানার তৎকালীন ওসি প্রদীপ কুমারের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ টেকনাফের এক খামারির। অবসরপ্রাপ্ত মেজর সিনহা রাশেদ হ’ত্যা মামলার এই আসামির বাহিনীর কু’কর্মের প্রমাণ মিলেছে সরেজমিনে।
সর্বস্ব পুঁজি করে গড়ে তোলা মুরগির খামার পুড়িয়ে দেয়ার কথা বলছিলেন টেকনাফের মহেশখালী পাড়ার নাজির। তবে এখানেই শেষ নয়, তাণ্ডব চালানো হয়েছিল তার বসতভিটাতেও। নাজিরের স্ত্রী জানান, ওসি প্রদীপের বাহিনী তাদের বাড়িতে ঢুকে গুলি ছোঁড়ে।আ’তঙ্কে পক্ষাঘা’তগ্রস্ত ও স্মৃতিভ্রষ্ট হয়ে পড়েন তার বৃদ্ধা শাশুড়ি। আর ভেঙে দেয়া হয় তার হাত। নাজিরের স্ত্রী বলেন, ওসি প্রদীপের সঙ্গে আরো দু-একজন এসেছিল। দরজা খোলার সাথে সাথে গু’লি করে। আর হাত মোচড়ায় ভেঙ্গে দেয়।
এলাকাবাসীর স্মৃতিতেও ছায়া ফেলে আছে নারকীয় সেই ঘটনা। একজন জানান, আসবাবপত্রে পেট্রোল দিয়ে আগুন দিয়ে দেয়। দুগাড়ি পুলিশ এসে এই কাজ করে। এক কথায় আইনি পোশাক পরে বেইয়াইনি কাজ করে। যে বাধা দিয়েছে তাকেও মামলা দিয়ে হেনস্থা করেছে।নাজিরের প্রতিবেশী ফজলের অভিযোগ, ২০ লাখ টাকা চাঁদার দাবি না মেটানো বন্দুকযুদ্ধের নাটক সাজিয়ে মে’রে ফেলা হয়েছে তার মৎস্যজীবী ছেলেকে। এ বিষয়ে জানতে কক্সবাজার জেলার পুলিশ সুপারকে মোবাইলে ফোন করা হলেও তিনি কেটে দেন